ফরাসি গবেষকরা এবার পিঁপড়াকে ক্যান্সার চিহ্নিত করতে প্রশিক্ষণ দিয়ে সফল হয়েছেন। পরীক্ষাগারে বিশেষ কিছু ক্যান্সার আক্রান্ত কোষের গন্ধ শনাক্ত করতে অতিখুদে এই প্রাণীকে প্রশিক্ষণ দিয়েছেন তাঁরা।
সংশ্লিষ্ট গবেষকরা জানিয়েছেন, পিঁপড়াকে দিয়ে ক্যান্সার শনাক্তকরণে সময় কম লাগার পাশাপাশি এই প্রাণীকে প্রশিক্ষণ দিতেও ব্যয় হবে অন্য প্রাণীর তুলনায় অনেক কম।
সুইডেনের বিজ্ঞানভিত্তিক রেডিও অনুষ্ঠান ‘ভেটেন্সকাপসরাডিওন’-এ এই গবেষণার বিশদ বিবরণ দেওয়া হয়েছে।এই গবেষণার ফল প্রকাশিত হয়েছে বৈজ্ঞানিক জার্নাল আইসায়েন্সে।
গবেষণার দেশ ফ্রান্সে অসংক্রামক রোগের মধ্যে ক্যান্সারেই বেশি লোকের মৃত্যু হয়। কিন্তু বিনা পয়সায় চিকিৎসার সুযোগ থাকা সত্ত্বেও অনেকেই আলস্য করে পরীক্ষা করায় না। ঝক্কি-ঝামেলার আশঙ্কা তার অন্যতম কারণ।
কিন্তু এই পিঁপড়াপদ্ধতি একেবারেই কোনো অস্বস্তির জন্ম দেবে না সম্ভাব্য রোগীর জন্য। কারণ এই পদ্ধতিতে কোনো সুই, বায়োপসি, এন্ডোস্কোপি বা এ ধরনের কিছুর বালাই নেই। সর্বোপরি রোগী ও পিঁপড়ার মধ্যেও সরাসরি যোগাযোগ থাকবে না।
ক্যান্সার কোষ এক ধরনের উদ্বায়ী যৌগ তৈরি করে, যা রোগীর রক্তপ্রবাহে মেশে। সেখান থেকে যায় প্রস্রাব, ঘাম, লালা এবং নাক দিয়ে ত্যাগ করা বাতাসে। তাই এ পদ্ধতিতে রোগীর প্রস্রাব বা লালা ব্যবহার করা হয়। প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে পিঁপড়াকে চেনানো হয় এর গন্ধ।ফরাসি গবেষকরা এভাবে পিঁপড়াকে দিয়ে ক্যান্সার চিহ্নিত করতে সফল হয়েছেন।